সিলেট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র (টিটিসি) আলমপুরস্থ থেকে ২২ বছর পর বদলী হলেন ডিজেল/অটো ট্রেডের মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক ইন্সটাক্টর। সূত্রে জানা যায়, তিনি সিলেট টিটিসিতে এসে যোগদান করে ছিলেন ২০০৪ সালের ৭ জুলাই, ওই প্রতিষ্ঠানে ২০২৪ইং পর্যন্ত টানা প্রায় ২২ বছর কর্মরত ছিলেন সিলেটে। সেই কর্মকর্তা দীর্ঘ দিন সিলেটে থাকার ফলে ব্যাপক দুর্নীতির অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জন প্রশাসন মন্ত্রনালয় আইন অনুযায়ী ৩ বছরের উর্ধ্বে কোন কর্মকর্তা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকরত থাকার বিধান না থাকলেও তিনি কি ভাবে এত দিন থাকলেন এ প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের। বিশেষ এক সূত্র জানাযায়, ইন্সটাক্টর মো.দেলোয়ার হোসেন এর গ্রামের বাড়ি ঢাকা গাজিপুর সিটি এলাকায়। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার বড় ভাই ঢাকা গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এর তিন বারের আওয়ামীলীগ মনোনিত কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন। আওয়ামীলীগ ঘেরা রাজনীতিতে থাকায় মন্ত্রী ও এমপিদের সাথে ছিলো ঘনিষ্ট সম্পর্ক, সেই সুবাদে তিনি দীর্ঘ দিন ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে সিলেটে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রায় ২২ বছর সিলেট টিটিসিতে থেকে ঢাকায় করেছেন (৫ তলা) বিশিষ্ট বাড়ি, করেছেন লাখ লাখ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স, নামে বেনামে করেছেন স্ত্রীর নামে সম্পতি ও সঞ্চয়পত্র। ট্রেড ইনচার্জ থাকায় ডিজেল/অটো ট্রেডে করেছেন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি, তাছাড়া তিনি ছিলেন মহিলা বিদেশ যাত্রী (হাউস কিপিং) ট্রেডের ইনচার্জ। সেখান প্রতি মাসে বিদেশী যাত্রী,অসহায় মহিলাদের কাছ থেকে নিয়েছেন হাজার-হাজার টাকা, থাকা ও খাওয়ার অজুহাতে কামাই করেছেন লাখ-লাখ টাকা। কোন এক সময় মন্ত্রণালয় থেকে বদলীর আদেশ হলেও তা আটকিয়ে যেত অদৃশ্য কারণে। সিলেট টিটিসিতে অনেকের বাদলী হলে সেই দেলোয়ার সহ আর ৫ খলিফার পৈত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছেন নিয়েছেন অভিযোগ, এদের ক্ষমতার দাপটে কেউ মুখখোলে প্রতিবাদ কার সহাস পান না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নতুন উপদেষ্টার সরকার আসার পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জনশক্তি ও কর্মসংস্থা ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো প্রশাসক শাখার উপ পরিচালক চলতি দায়িত্ব মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী গত ০৭ নভেম্বর ২০২৪ইং স্মারক নং ৪৯.০১০০০০০০২.১৯.০০২.২০ ঢাকার বিজি-টিটিসিতে বদলী করেন ইন্সটাক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন কে। বদলীর আদেশে উল্লেখ করা হয় ১০ নভেম্বর ২০২৪ইং নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য, ইতিমধ্যে তিনি ঢাকায় যোগদান করলেও এখন সিলেট টিটিসিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ মাসেই তিনি তার মেয়ের বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হলেই স্বপরিবারে সিলেট ছাড়বেন বলে জানা গেছে।