অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সিলেট নগরী ফুটপাত দখল মুক্ত হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মির্জা জাঙ্গাল, চৌহাট্টা ও আম্বরখানায় বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে থাকা দোকান ও মালামাল উচ্ছেদ করা হয়। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) রাখি রানী দাশ বলেন, সিলেট মহানগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করেছে। সড়ক দখলমুক্ত রাখতে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যার আগে আবারও অনেক জায়গায় ফুটপাত দখল করতে শুরু করেন হকার ও দোকানদাররা। এতে পথচারী ও যান চলাচরে বিঘিœত হয়। বন্দর কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে।
নগরীর জিন্দাবাজার রোডে পাঁচ পিরের মাজারের সমানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেখা যায় দোকানীরা দোকানের সীমা ছড়িয়ে ফুটপাতের উপর কাপড় ঝুলিয়ে রেখেছেন। কেউ টেবিল পেতে আবার কেউ কেউ দোকানের দেয়ালের সাথে লোহার হ্যাঙার লাগিয়ে কাপড় রেখেছেন। এতে একদিকে যেমন ফুটপাত অনেক খানি দখল হয়ে গেছে, পাশাপাশি পথচারী চলাচলে তৈরি হয় মারাত্মক জটলা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ছুঁটির পর অগ্রগামী স্কুল ফেরত শিক্ষার্থীরা। এসময় অনেক পথচারী দোকানীদের এসব ফুটপাত দখল নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন এবং লোকদেখানো অভিযান নিয়ে উষ্মাপ্র্রকাশ করেন।
এর আগে ২৪ অক্টোবর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কনফারেন্স রুমে এক সভায় ফুটপাত দখলমুক্ত ও হকার উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম, সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট হকার ঐক্য পরিষদ, পরিবহন মালিক সমিতি, প্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।