1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে সরকারি গাড়ি,গাড়ির নাম্বার প্লেট ও কাগজপত্র উধাও

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪০ বার পঠিত
সরকারি গাড়ি বলে কথা। অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে তবুও নির্দেশনা না পেলে বিক্রি করা যাবেনা। এমনকি মেরামত করে ব্যবহারেরও কোনো উপায় নেই। নির্দেশনার অপেক্ষায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের ভেতর পড়ে থাকা ৫টি সরকারি গাড়ি মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। অব্যবহৃত গাড়ি বিক্রয় না করায় সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সরেজমিনে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনের সামনে ৪ টি এ্যাম্বুলেন্স মাটি চাঁপা অবস্থায় পড়ে আছে এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট এর সামনে ১ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১ টি জিপ গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেট খুলে নেয়া হয়েছে এবং অধিকাংশ গাড়ির ভিতরের যন্ত্রাংশ অদৃশ্য হয়ে গেছে। এভাবে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার প্রফুল্ল জানান, হাসপাতালে ২ টি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহৃত হচ্ছে। কোন এ্যাম্বুলেন্সেই নাম্বার প্লেট নাই। একটি প্রায় ৬/৭ বছর ধরে ব্যবহৃত হলেও এখন পর্যন্ত গাড়িতে নাম্বার প্লেট লাগানো হয়নি। নেত্রকোণা নাসিং ইনস্ট্রিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ সাহিদা পারভীন বলেন, নার্সিং ইনস্টিটিউট এর কম্পাউন্ডের ভেতরে ১ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১ টি জিপ গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে কিন্তু গাড়িগুলো কার তিনি তা জানেন না। তবে গাড়িগুলো নার্সিং ইনস্টিটিউট এর নয় বলে তিনি নিশ্চিত করেন।জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু সাঈদ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, গাড়িগুলোর মধ্যে একটি মোহনগঞ্জ হাসপাতালের এবং বারহাট্টা হাসপাতালের। এই দুটি গাড়ির কাগজ অফিসে আছে। ৪টি গাড়ির কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। গাড়িগুলোর কাগজপত্র ও নাম্বার প্লেট অন্য কেউ ব্যবহার করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মেরামত কিম্বা বিক্রি করার উপায় না থাকায় গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, হাসপাতালের একটি অসাধু সিন্ডিকেট এ্যাম্বুলেন্স গুলো মেরামত না করে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে নষ্ট করছে অন্যদিকে পুরা হাসপাতাল জুড়ে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ষ্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। হাসপাতালে রোগী আসলেই অধিকাংশ রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই সুযোগে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রোগী পরিবহনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্য জানান, হাসপাতালে অব্যবহৃত সরকারি গাড়িগুলো তত্ত্বাবধায়ক যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে বিক্রি করলেই সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হতো না। তাছাড়া উপজেলা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স জেলা সদর হাসপাতালে রাখার কথা নয়। পুরানো গাড়িগুলোর কাগজপত্র অবশ্যই তত্ত্বাবধায়কের কাছে থাকতে হবে। গাড়িগুলোর কাগজ ও নম্বর প্লেট ব্যবহার করে অন্য কেউ অপরাধে জড়িত হওয়ার তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে পাইভেট এ্যাম্বুলেন্স রাখার বিষয়ে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK