1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৩ বার পঠিত
আবহাওয়াজনিত কারণে নেত্রকোনায় নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এরমধ্যে দুই মাস থেকে এক-দেড় বছর বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছে। এতে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চাপ রয়েছে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও। প্রতিদিন ঠাণ্ডজ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬শত থেকে ৮শত শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু সাঈদ মোঃ মাহবুবুর রহমান। এদিকে অন্য চিকিৎসকরা বলছেন, এই সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অতিরিক্ত যত্ন ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকি গেট পর্যন্ত পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু রোগীরা। একদিকে শিশু রোগীদের যেমন চাপ,তেমনই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।
গত ১১ দিনে অর্থাৎ ১৩ থেকে ২৪ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৬০০ রোগী। এরমধ্যে অর্ধেকই নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজ্বরে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে এবার শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট, অপরদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা নেত্রকোনা সদরের এক ব্যক্তি বলেন, গত চার দিন আগে হঠাৎ করেই আমার ছেলে প্রচণ্ড জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও কাজ না হলে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন, আমার নাতি জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা বেগতিক হলে বৃহস্পতিবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোনো জায়গা না থাকায় নাতিকে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছি।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, পাশাপাশি বেড়েছে বয়োবৃদ্ধের আক্রান্তের সংখ্যা ৷ তবে এরমধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। আবহাওয়া ও দূষণগত কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে চলমান আবহাওয়ার কারণে নেত্রকোনায় অনেক মানুষ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাঃ খান মোহাম্মদ ফজলুল বারী (ইভান) জানান, এই সময়ে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণ, লক্ষণ, অ্যাডিনো ভাইরাস ও করণীয় নিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই চিকিৎসকের মতে, শুষ্ক মৌসুম ও ধুলাবালিসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতি বছরই এই সময়ে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ে। এতে বেশি সংক্রমিত হয় শিশুরা।
তিনি আরোও জানান, কখনো কখনো ভাইরাসজনিত কারণে সর্দি-কাশি হয়। আবার কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও হয়। চলমান মৌসুমে সাধারণত শুষ্ক কাশি বেশি হয়। অনেক সময় কাশিতে শ্বাসকষ্ট হয়। দম বন্ধ হয়ে আসার মতো পরিস্থিতি হয়, যা শিশুদের জন্য বেশি কষ্টকর। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা লাগার পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে তা নিউমোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়। তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে এটা হয় না।নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু সাঈদ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, যদি শুধু শুষ্ক কাশি থাকে, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঠাণ্ডা লাগলে শিশুরা যদি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্রুত শ্বাস নেয়, শ্বাসকষ্ট হয়, শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় বা খুব বেশি জ্বর হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে জ্বর থাকা না থাকার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্বর থাকাটা ইনফেকশনের সাইন। তবে যদি জ্বর না থেকে শুধু কাশি হয়, সেটা মূলত অ্যালার্জি ও আবহাওয়াজনিত কারণেই হয়।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK