1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

রুহিয়ার মেলায় ভোজন রসিকদের টানছে গুড়ের তৈরি রসালো জিলাপি

আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ বার পঠিত
সারাদেশে চিনির জিলাপি পাওয়া গেলেও এখানে পাওয়া যায় খেঁজুর ও আখের গুড়ের জিলাপি।ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়া আজাদ মেলার এর সবচেয়ে ভোজন রসিকদের খাবার হলো জিলাপি। বাঙালিকে জিলাপির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। মেলায় গিয়ে সবাই প্রথমেই জিলাপি খোঁজেন। জিলাপি খেতে-খেতে মেলা দেখার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা  রুহিয়া ঐতিহ্যবাহী আজাদ মেলার দেখা মিলেছে দারুণ স্বাদের এই গুড়ের জিলাপির।
আগের দিনের পরিবেশে মাটির চুলায় তৈরি করা এই জিলাপি একবার খেলে স্বাদ অনেকদিন জিহ্বায় লেগে থাকার মতো। বাজারে প্রচলিত চিনির জিলাপি থেকে এর স্বাদ একদমই আলাদা।
ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলা জিলাপি দোকানদার। হুমায়ুন হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি গুড়ের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
হুমায়ুন কবির নামের দোকানি জানান, অন্য জেলা থেকে যারাই আসেন গুড়ের জিলাপি নিয়ে যান। স্থানীয়রাও খুব পছন্দ করেন।
এছাড়াও রামনাথ বাজার ,আটোয়ারী মেলায়, ঠাকুরগাঁও বাজারেও এ গুড়ের জিলাপি বিক্রি করতে দেখা গেছে। ৬৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ  মেলায় বেশ কয়েকটি দোকানে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার গুড়ের জিলাপি তৈরি করে বিক্রি করছেন। ক্রেতারা দোকানের বেঞ্চে আবার কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কিনে।
আহসান হাবিব রুবেল বলেন,১৫ বছর ধরে মিষ্টির ব্যবসা করছি। প্রতিকেজি জিলাপি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন ১০০ কেজি থেকে ১৫০ কেজি বিক্রি হয়।
আরেক বিক্রতা ওমর ফারুক বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গুড়ের জিলাপির ঐতিহ্য আছে। দীর্ঘ ৬৫ বছর হলো এই জিলাপি বিক্রি করছি।
এ বিক্রেতা জানান,ঠাকুরগাঁও বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশপাশের অনেক জেলা থেকে লোকজন এই জিলাপি কিনতে আসেন। রুহিয়া আজাদ মেলা হুমায়ুন হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারের জিলাপি কারিগর  ঠেরু রায় ও তাজী ইসলাম  বলেন, জিলাপি তৈরি করতে তেল, ময়দা, গুড় প্রয়োজন হয়। ময়দা দিয়ে জিলাপি বানিয়ে এরপর তেলে ভেজে গুড়ের সিরায় ভিজিয়ে তুলে নিতে হয়। চিনির জিলাপির চাইতে এটি মচমচে এবং সুস্বাদু হয়।
দিনাজপুরের থেকে ঘুরতে আসা সোহেল রানা জব্বার হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, আগে কখনো গুড়ের জিলাপি খাওয়ার সুযোগ হয়নি,আমাদের অঞ্চলে চিনিতেই জিলাপি হয়। গুড় দিয়ে কেউ তৈরি করে না। এই জিলাপি খেতে খুব স্বাদ।
 রুহিয়া রামনাথ হাট স্থানীয় বাসিন্দা মিলন চৌধুরী  নামের একজন বলেন, উত্তরের এই জনপদের মানুষ খুবই সহজ জীবন যাপন করে। এখানে খাবারে ভেজাল নেই বললেই চলে। বাজারগুলোতে গুড়ের যে জিলাপি পাওয়া যায় সেগুলো ভালোমানের গুড় দিয়েই তৈরি করা হয়। যার ফলে এগুলো খেতেও দারুণ স্বাদের হয়।পল্লী চিকিৎসক ডা: রিপন ইসলাম স্থানীয় আরেকজন বলেন, গুড়ের জিলাপি এ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কম আছে। যদি তা গরম হয় তা হলেতো কথাই নেই। অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে নেওয়া মেলা থেকে  জিলাপি মিষ্টি খাবার হিসেবে ব্যবহার করেন। সকাল বিকেলের নাস্তায় অনেকে জিলাপি খান
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK