পণ্য পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করতে চায় নেপাল। তবে এই মূহুর্তে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলদেশের নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা সিলওয়াল। বৃহস্পতিবার বিকেলে রহনপুর সীমান্তের রেলওয়ে ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ললিতা সিলওয়াল বলেন, নেপাল স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় সমুদ্রপথ ব্যবহার কঠিন। তাই ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে রুট ব্যবহার করে সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে নেপাল। এই রুটটি নেপালের ব্যবসায়ীরা আরো বেশি ব্যবহার করতে পারে সে জন্যই নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রহনপুর শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনে এসেছি। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রতি যথেষ্ট উদার। বাংলাদেশ মোংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও আমাদের ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে। রহনপুর সিঙ্গাবাদ রেলপথ আগে থেকেই আছে। তবে ২০২১ সালে রাষ্ট্রপতির সফরের সময় অতিরিক্ত ট্রানজিট রুট হিসাবে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলপথ ব্যবহারের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ললিতা সিলওয়াল বিকেলে সড়ক পথে রহনপুর স্টেশনে পৌঁছান। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ মোটর ট্রলিতে সীমান্তের ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপ-পরিচালক মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁনসহ নেপাল দূতাবাস ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁন বলেন, দেশের পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে দুটি দিয়ে ভারত হয়ে নেপালে পণ্য পরিবহন করা হয়। এরমধ্যে একটি রহনপুর সিঙ্গাবাদ রুট। আরেকটি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বিরল ও ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর রুট। রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে পণ্য পরিবহন আরও বাড়ানো যায় কিভাবে সেজন্য তারা পরিদর্শনে এসেছেন।