শেরপুরে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে শতাধিক শখের শিকারী। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব শিকারী প্রতিবছর হেমন্তে মাছ ধরার উৎসবে নামেন জেলার পাহাড়ি নদী ভোগাইসহ বিভিন্ন নদী, খাল ও বিলে। স্থানীয়ভাবে এ উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহুত উৎসব’। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে ভোগাই নদীতে উৎসবে নামেন শতাধিক শখের মাছ শিকারী।
দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে পলো, খেয়া জাল, ছিপ জালসহ মাছ ধরার নানা ধরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামেন তারা। নদীর একেবারে উত্তরে ভারতঘেঁষা নাকুগাঁও এলাকা থেকে এসব শিকারী একযোগে পুরো নদী বেষ্টনী দিয়ে মাছের সন্ধান করতে করতে এগিয়ে আসেন ভাটির দিকে। কারও জালে বা পলোতে ধরা পড়ে এ নদীর সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিত বোয়াল, আইড়, ঘাওরাসহ নানা প্রজাতির মাছ, কারও ভাগ্যে কিছুই জুটেনি।
মাছ শিকারীরা জানান, তারা পেশাদার শিকারী না, তবে মৌসুমী শিকারী। প্রতিবছর হেমন্তে তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকারে নামেন। নিতান্তই শখের বশে মাছ ধরেন তারা। যত বেশি এবং যত বড় মাছই তারা শিকার করেন না কেন তা তারা কখনো বিক্রি করেন না। অনেকে মাছ না পেয়ে ফিরে যান খালি হাতে। আসা-যাওয়ার সময় ছাড়াও ব্যয় হয় ভাড়ার টাকা। তবুও তাদের দুঃখ নেই। সুখ একটাই, সবাই একসাথে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন।
প্রাচীনকাল থেকে জেলায় মাছ ধরার এ ‘বাহুত উৎসব’ বা ‘বাহৈত উৎসব’ চলে আসছে। ছেলে-বুড়ো সব বয়সী মানুষ এ শিকারে অংশ নেন।