সারাদেশে চিনির জিলাপি পাওয়া গেলেও এখানে পাওয়া যায় খেঁজুর ও আখের গুড়ের জিলাপি।ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়া আজাদ মেলার এর সবচেয়ে ভোজন রসিকদের খাবার হলো জিলাপি। বাঙালিকে জিলাপির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। মেলায় গিয়ে সবাই প্রথমেই জিলাপি খোঁজেন। জিলাপি খেতে-খেতে মেলা দেখার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া ঐতিহ্যবাহী আজাদ মেলার দেখা মিলেছে দারুণ স্বাদের এই গুড়ের জিলাপির।
আগের দিনের পরিবেশে মাটির চুলায় তৈরি করা এই জিলাপি একবার খেলে স্বাদ অনেকদিন জিহ্বায় লেগে থাকার মতো। বাজারে প্রচলিত চিনির জিলাপি থেকে এর স্বাদ একদমই আলাদা।
ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলা জিলাপি দোকানদার। হুমায়ুন হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি গুড়ের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
হুমায়ুন কবির নামের দোকানি জানান, অন্য জেলা থেকে যারাই আসেন গুড়ের জিলাপি নিয়ে যান। স্থানীয়রাও খুব পছন্দ করেন।
এছাড়াও রামনাথ বাজার ,আটোয়ারী মেলায়, ঠাকুরগাঁও বাজারেও এ গুড়ের জিলাপি বিক্রি করতে দেখা গেছে। ৬৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলায় বেশ কয়েকটি দোকানে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার গুড়ের জিলাপি তৈরি করে বিক্রি করছেন। ক্রেতারা দোকানের বেঞ্চে আবার কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কিনে।
আহসান হাবিব রুবেল বলেন,১৫ বছর ধরে মিষ্টির ব্যবসা করছি। প্রতিকেজি জিলাপি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন ১০০ কেজি থেকে ১৫০ কেজি বিক্রি হয়।
আরেক বিক্রতা ওমর ফারুক বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গুড়ের জিলাপির ঐতিহ্য আছে। দীর্ঘ ৬৫ বছর হলো এই জিলাপি বিক্রি করছি।
এ বিক্রেতা জানান,ঠাকুরগাঁও বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশপাশের অনেক জেলা থেকে লোকজন এই জিলাপি কিনতে আসেন। রুহিয়া আজাদ মেলা হুমায়ুন হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারের জিলাপি কারিগর ঠেরু রায় ও তাজী ইসলাম বলেন, জিলাপি তৈরি করতে তেল, ময়দা, গুড় প্রয়োজন হয়। ময়দা দিয়ে জিলাপি বানিয়ে এরপর তেলে ভেজে গুড়ের সিরায় ভিজিয়ে তুলে নিতে হয়। চিনির জিলাপির চাইতে এটি মচমচে এবং সুস্বাদু হয়।
দিনাজপুরের থেকে ঘুরতে আসা সোহেল রানা জব্বার হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, আগে কখনো গুড়ের জিলাপি খাওয়ার সুযোগ হয়নি,আমাদের অঞ্চলে চিনিতেই জিলাপি হয়। গুড় দিয়ে কেউ তৈরি করে না। এই জিলাপি খেতে খুব স্বাদ।
রুহিয়া রামনাথ হাট স্থানীয় বাসিন্দা মিলন চৌধুরী নামের একজন বলেন, উত্তরের এই জনপদের মানুষ খুবই সহজ জীবন যাপন করে। এখানে খাবারে ভেজাল নেই বললেই চলে। বাজারগুলোতে গুড়ের যে জিলাপি পাওয়া যায় সেগুলো ভালোমানের গুড় দিয়েই তৈরি করা হয়। যার ফলে এগুলো খেতেও দারুণ স্বাদের হয়।পল্লী চিকিৎসক ডা: রিপন ইসলাম স্থানীয় আরেকজন বলেন, গুড়ের জিলাপি এ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কম আছে। যদি তা গরম হয় তা হলেতো কথাই নেই। অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে নেওয়া মেলা থেকে জিলাপি মিষ্টি খাবার হিসেবে ব্যবহার করেন। সকাল বিকেলের নাস্তায় অনেকে জিলাপি খান