বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক বাচ্চু এর বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এনে লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেগ এমদাদুল হকের সৎ বোন কাকলি আক্তার। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ফেরত পেতে এ সময় চামেলী আক্তার, ফ্যামিলি রহমান, মর্জিনা বেগম, পারভিন বেগম ও তাদের চাচাতো ভাই বেগ মুকাররাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাকলি আক্তার বলেন, ১৯৯৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভাই বেক এমদাদুল হক বাচ্চু সরকারি প্রভাব বিস্তার করে আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি হতে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। আমরা আমাদের জায়গায় গেলেই হুমকি ধামকি, মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত।
৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সৎ ভাই বাচ্চু বেগ গা ঢাকা দেয়। কয়েকদিন আগে এসে বাড়িতে আসলে আমরা সকল বোনরা সম্মিলিত হয়ে আমাদের প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে বলি। সে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়েই উল্টো আমাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে। সে পরিষ্কারভাবে আমাদের জানিয়ে দেয়, আমাকে দুর্বল মনে করবানা। আমার সাথে সেনাবাহিনী আছে, তারা আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গেছে। সে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এখন প্রশাসনের সহায়তায় আমরা আমাদের প্রাপ্ত পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত চাওয়ার দাবি জানান তিনি।
সোমবার সম্মেলনে উপস্থিত চামিলি আক্তার নামে অন্য এক বোন দৈনিক অনন্ত বাংলাকে বলেন, সৎ ভাই বেগ ইমদাদুল হক একজন দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান। দুর্নীতি করে বিপুলের মালিক হয়েছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে একজন পর সম্পদ লোভী। সে আমাদের ছয় বোন ও এক ভাইয়ের সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমাদের সকল সম্পত্তি ফেরত চাই।
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেগ ইমদাদুল হক বাচ্চুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।