পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী তিনি যিনি গর্ভে ধারন করেছেন ওলিকুল শিরমনি, সাইয়েদুল কাওনাইন, সাইয়েদুল মুরসালিন, সাইয়েদুল মোস্তফা, সাইয়েদুল মুজতবা, হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
শ্রেষ্ঠ নারী তো তাঁরা যাদের পবিত্র গর্ভের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছেন অসংখ্য নবী ও রাসূলগণ। কতই না সৌভাগ্য যে নবীগণের “মা” হিসেবে তাদের পরিচয়।
সে সকল নারী কতই না সৌভাগ্যবান যারা পৃথিবীতে সাহাবায়ে কেরামগণ (রাঃ)-এর মত জান্নাতের সু-সংবাদ প্রাপ্ত সন্তান জন্ম দিয়েছেন। একেক সাহাবীর মর্যাদা আমার মত নগন্য কোটি মানুষের চেয়ে বেশি। হায়াতুস সাহাবা গ্রন্থ সহ অসংখ্য গ্রন্থ থেকে তাদের ত্যাগ বিসর্জন ইত্যাদি পড়লে গবেষণা করতে সুবিধা হবে।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে চার শ্রেণির পুরুষের কথা রয়েছে যারা দামী
১) নবীগণ (আল্লাহ তাআলার দূত)
২) সিদ্দিকগণ (সত্যিবাদী)
৩) শুহাদাগণ (শহীদ)
৪) সালেহীনগণ (নেককার)
এই গর্বিত চার শ্রেণির পুরুষের জন্ম দিয়েছেন যেই নারী, সেই নারী কতই না সৌভাগ্যবান।
আল্লাহ তাআলা শুধু নারীদের মধ্যে নবী করে কাউকে পাঠান নি। তবে শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে তাদেরকেও মর্যাদা দিয়েছেন।
সম্মানিত জাতী নারী জাতী কেননা তাঁরা নবী রাসূলগনের “মা”। মা ব্যতীত সন্তান পৃথিবীতে আসে নি, এমন কি নবী,রাসূলগণ ও আসতে পারেন নি।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত
উপরোক্ত চার প্রকারের প্রথম প্রকার ব্যতীত বাকী তিন প্রকারের অন্তর্ভুক্ত আমাদের সম্মানিত মা জাতী।
একজন সম্মানিতা মায়ের উক্তি
পৃথিবীতে একজন শ্রেষ্ঠ অলীর নাম হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ)
মা তাঁর সন্তানকে সম্বোধন করে বলেছেন বাবা তুমি যে অলি হইছ এটা তোমার কেরামতি না বরং আমি মা-র।
মা বলেন তুমি যখন আমার গর্ভে এসেছ তখন থেকে কোন পরপুরুষ আমাকে দেখেনি। নিজেকে সকল প্রকার গুনাহ্ থেকে মুক্ত রেখেছি।
সুবহানআল্লাহ.
এমন সৌভাগ্য মায়ের গর্ভে তো এমন সৌভাগ্য সন্তান-ই জন্ম নেয়।
যেমনিভাবে নারী জাতী শ্রেষ্ঠ তেমনিভাবে তাদের মধ্য থেকে বেশি সংখ্যক নারী জাহান্নামি হবে। (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহ তাআলা সকল নারীদেরকে সালেহীন হওয়ার তৌফিক দান করুক। আমিন
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করছি…
জাহান্নামীদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি। নবী (ﷺ) বলেছেন, “আমি জান্নাতের মধ্যে তাকিয়ে দেখলাম, অধিকাংশ অধিবাসীই গরীবদের দল।
আর জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তার অধিকাংশ অধিবাসীই মহিলা।” (বুখারী ও মুসলিম)
কুফরী ও শির্ক ছাড়াও এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার আরো অন্য কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে হাদীসে।
একদা নবী (ﷺ) (মহিলাদেরকে সম্বোধন করে) বললেন, “হে মহিলা সকল! তোমরা সাদকাহ-খয়রাত করতে থাক ও অধিকমাত্রায় ইস্তিগফার কর। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।” একজন মহিলা নিবেদন করল, আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ কী? হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, “তোমরা অভিশাপ বেশি কর এবং নিজ স্বামীর অকৃতজ্ঞতা কর। বুদ্ধি ও ধর্মে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণ ব্যক্তির উপর তোমাদের চাইতে আর কাউকে বেশি প্রভাব খাটাতে দেখিনি।” মহিলাটি আবার নিবেদন করল, ‘বুদ্ধি ও ধর্মের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কী? তিনি বললেন, “দু’জন নারীর সাক্ষ্য একটি পুরুষের সাক্ষ্য সমতুল্য। আর (প্রসবোত্তর খুন ও মাসিক আসার) দিনগুলিতে মহিলা নামায পড়া বন্ধ রাখে।” (মুসলিম)।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “আমি দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হল মহিলা।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তা কী জন্য হে আল্লাহর রসুল? তিনি বললেন, “তাদের কুফরীর জন্য। তারা বললেন, ‘আল্লাহর সাথে কুফরী? তিনি বললেন, “(না, তারা স্বামীর কুফরী (অকৃতজ্ঞতা) ও নিমকহারামি করে। তাদের কারো প্রতি যদি সারা জীবন এহসানী কর, অতঃপর সে যদি তোমার নিকট সামান্য ত্রুটি লক্ষ্য করে, তাহলে বলে বসে, তোমার নিকট কোন মঙ্গল দেখলাম না আমি!” (বুখারী, মুসলিম)।
আল্লাহ তাআলা আমাদের আদর্শ মা হওয়ার তৌফিক দান করুক। আমিন