খুলনায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক বিকাশ কুমার দাসের (৫৫) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর স্বাস্থ্যকর্মী মোসা: আঞ্জুমান অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান, বিকাশ কুমার দাস ২০১৮ সালে মেহেরপুরে চাকরিরত অবস্থায় আমার সাথে পরিচয় হয়। সে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলে আমাকে বিয়ে করবে বলে ২০১৮ সাল থেকে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিয়ের কথা বলে সে আমাদের বাড়িতেও আসছে। ২০২০ সালের বিকাশ কুমার দাস চাকরি থেকে ট্রান্সফার হয়ে খুলনায় আসে। আমাকে খুলনায় আসতে একাধিকবার চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু আমি তাকে বিয়ের কথা বললেই সে এড়িয়ে যায় ও কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে তার বিষয় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জসহ যেসব জেলায় সে চাকরি করেছে প্রত্যেক জায়গায় তার নারী ঘটিত বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায় আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয় ও হুমকি প্রদান করে। এখন সে বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে।
যে কথা বলে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই, তাকে আমি বিয়ে করতে চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বিকাশ কুমার দাস নিজেকে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন ও বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রামে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেন। পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বিকাশ কুমার দাসের চারিত্রিকভাবে সমস্যা রয়েছে। সে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তার নারী সহকর্মীদের গভীর রাতে ফোন দিতেন ও জরুরি সাক্ষাতের কথা বলে তার রুমে ডেকে নিতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাননি।
এ বিষয়ে বিকাশ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেহেরপুর থাকাকালীন আনজুমান এর সাথে আমার পরিচয় হয়। আমার পরিবার বাড়িতে ছিল, তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তার বাড়িতেও গিয়েছি। কিন্তু ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে বিয়ে করবো একথা তাকে কখনো বলি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।