অনৈতিক আবদার মেনে না নেওয়ায় নেত্রকোনা মদন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকতার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন একটি প্রতিপক্ষ দল। এই নিয়ে মদন উপজেলার জনসাধারণের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে এই ধরনের নেতাকর্মীরা দলে বহাল থাকলে বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে জানান দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বদলীজনিত কারণে মদনের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রেজোয়ান ইফতেকার। ইউএনও’র দায়িত্ব পাবার পর থেকে বিএনপি’র একটি অংশ তার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের জন্য। গত ১ ডিসেম্বর রাতে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা কমিটির বিএনপি’র সভাপতি মো. নুরুল আলম তালুকদার ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স পাবার জন্য অযৌক্তিক আবদার করেন। এই আবদার মেটাতে অস্বীকৃতি জানালে ফুসে উঠেন দায়িত্বরত কর্মকর্তার উপর। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ এনে পরেরদিন ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন ও ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে মদন উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন ত্যাগী ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের।
তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছাত্রদলের প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল হেলিম ভুলু বলেন, “ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করাটা খুবই খারাপ হয়েছে। তা আমাদের নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর সাহেবের জন্য ইতিবাচক হয়নি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র কাছে আমাদের সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কাজের জন্য এবং ইউএনও’র কাছে কয়েকটি ওএমএসের লাইসেন্স ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ দাবি করেন। উপজেলায় ওএমএসের লাইসেন্স ছয়টির মধ্যে চারটি সভাপতি নিজেই দাবি করেন। ইউএনও তাকে বলেন এভাবে আমি দিতে পারি না। লটারির মাধ্যমে দেওয়া হবে। তখনই সভাপতি সাহেব ফিরে গিয়ে অফিসে মিটিং করে এবং ঝাড়ু মিছিলের পরামর্শ করে। ইউএনওর বিরুদ্ধে অনর্থক ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে। এটা দলের জন্য খুবই লজ্জাজনক কাজ হয়েছে এবং এ ধরণের কর্মকান্ডকে নিন্দা জানান তিনি।”উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের আজাদ বলেন, “মদন উপজেলার বর্তমানে বিএনপি’র সভাপতি তিনি মূলত রাজনীতিবিদ নন। তিনি একজন ব্যবসায়িক নেতা। যে সরকারই ক্ষমতায় আসেন তখনই তিনি ক্ষমতার স্বাদ নেন। বিগত আ.লীগ সরকারের সময় তিনি আ.লীগের সভাপতি কদ্দুছের সাথে সখ্যতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন এবং বিএনপিকে দাবিয়ে রেখেছেন তিনি। বিগত সময়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ি কোন গ্রোগ্রাম করতে গেলে আ.লীগের লোকজনকে জানিয়ে দিতেন এবং পরে আমাদের কাছে পুলিশ উপস্থিত হতো। স্বৈরচারী সরকারের আমলে মদনে সর্বোচ্চ মামলার আসামি আমি। উপজেলা বিএনপি কমিটি তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও মদনকে তিনি কমিটি বিহীন করে রেখেছেন। তার নিজের কমিটিরই কোন অনুমোদন নাই। তিনি কমিটি অনুমোদন করেন না। কারণ কমিটি অনুমোদন করলে আ.লীগ তার প্রতি অসন্তোষ্ট হয়ে যাবে।”
আবু তাহের আরও বলেন, “ঝাড়ু মিছিলের বিষয়ে যা শুনেছি তা ব্যবসারই একটা অংশ। সভাপতি নুরুল আলম সাহেব ইউএনও’র কাছে গিয়েছিলেন পৌরসভার ওএমএস লাইসেন্সগুলো তাকে দেওয়ার জন্য। এতে সম্মত না হলে সভাপতি মানতে রাজি নন এবং তাকেই দিতে হবে পেশার ক্রিয়েট করেন। রাজি না হওয়াতে ২ ডিসেম্বর বেলা ১০টায় মিথ্যা অজুহাতে মিটিং ডেকেছিলেন। দেখা গেল, মিটিংয়ে কোন লোকজন আসেন নাই। তখন তিনি একটা কৌশলে বাবর ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়েছেন। বাবর ভাইকে ইউএনও সাহেব কটুক্তি করেছে এ কথা বলে কিছু লোক এনে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছেন।”মদন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক কামরুল হাসান বলেন, “উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি’র বেশ কয়েকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি কাটার কিছু কাজ এবং পৌরসভার ওএমএসের লাইসেন্সের জন্য আলম সাহেব ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র কাছে যান। সভাপতির দাবি ছিল তার লোকজনদেরকে দিতে হবে। এই নিয়ে এসিল্যান্ড সাহেবের সাথে সভাপতির বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাহেব বাহিরে এসে জানায় এসিল্যান্ড সাহেব বাবর ভাই সম্পর্কে মন্দ বলেছে। এসিল্যান্ড বাবর সাহেবের এলাকায় এসে বাবর ভাই সম্পর্কে সমালোচনা ও মন্দ বলবে আদৌ বিশ্বাসযোগ্য না।”মদন পৌরসভার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সাবেক সদস্যসচিব মদন পৌরসভা যুবদল ও বিএনপির মনোনিত মেয়র নমিনি এনামুল হক বলেন, “ফ্যাসিস্ট পতনের পর আমাদের সভাপতি নুরুল আলম যে অফিসেই যান সেখানে তার স্বার্থের উনিশ-বিশ হলেই তাদেরকে আ.লীগ বানিয়ে ফেলেন এবং স্বার্থের কোন সমস্যা হলে এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীরাও বাদ যান না তার রোষানল থেকে। আসলে মদনে আ.লীগ ছিল না ও বর্তমানে নাই বলতে গেলে চলে। আ.লীগ যতটুকু আছে বিএনপি’র সভাপতি আলম সাহেবের ছত্রছায়ায় আছে। মদন উপজেলা বিএনপি বাবর ভাই কেন্দ্রীক। বাবর ভাইকে সকলেই ভালবাসে ও বাবর ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এখন সমস্যা হচ্ছে- আলম সাহেবের স্বার্থে কোন আঘাত লাগলে তখন তাকে বাবর ভাইয়ের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে ফেলেন এবং বাবর ভাইয়ের নামটাকে বিক্রি করেন।”
এনামুল আরও বলেন, “বিগত দিনে আমরা জেল ও ফেরারী জীবন কাটিয়েছি। এ সময় আলম সাহেব আ.লীগের সাথে আঁতাত করে ব্যবসা করেছে এবং আ.লীগের ছাত্রছায়ায় চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র সভাপতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। যাকে মামলা দিলে লাভ হবে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এবং যাকে মামলার বাহিরে রাখলে লাভ ও ব্যবসার সুবিধা হবে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয় নাই। ওএমএস ডিলারের কিছু লাইসেন্স ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কাজের বিপরীতে দরখাস্ত পড়েছে। ছয়টা লাইসেন্সের মধ্যে চারটি আলম সাহেব কিভাবে চাই এবং আবার তাকেই দিতে হবে। স্বার্থে আঘাত লাগায় বাবর ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে আলম চেয়ারম্যান।”মদন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশারফ হোসেন ইনচান বলেন, “আমাদের বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসিল্যান্ড অফিসের গিয়েছিল কাজ পাবার জন্য। কাজ প্রাপ্তি আবদার পূরণ না হওয়াতে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। সভাপতি নুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন নাই বিধায় তাদের কমিটি অবৈধ এবং মূলত দুজনকে নিয়ে মদন উপজেলা কমিটি। ঝাড়ু মিছিলের জন্য দলের লোকজনকে দাওয়াত করেছে কিন্তু, মানুষ আসে নাই। পরে হঠাৎ করে বাবর ভাইয়ের নাম বলে ইউনিয়ন থেকে দাওয়াত করে মদনে লোক এনেছে এবং ঝাড়ু মিছিল করেছে। বাবর ভাইয়ের বিরদ্ধে এসিল্যান্ড কিছু বলেছে এমন কোন কথা শুনি নাই। গত ১৬-১৭ যাবত সভাপতি নুরুল আলম আ.লীগের সাথে লিয়াজো করে অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অনেক টাকা আত্মসাত করেছে। তিনি মদনে বিএনপিকে ধ্বংস করেছে। অথচ বিগত সরকারের আমলে সভাপতির উপস্থিতিতে আমরা অন্তত পাঁচ মিনিটে জন্য বেশি দলীয় কোন আলোচনা ও কার্যক্রম করতে পারি নাই। এই সভাপতি বিএনপি’র অনেককে তার স্বার্থের জন্য মামলায় নাম জড়িয়েছে। নুরুল আলম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে আ.লীগের সভাপতির মাধ্যমেই। গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি’র লোক হয়েও আ.লীগের সভাপতি অর্থাৎ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার কার্য চালিয়েছে।”
মদন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএইচ পিপুল বলেন, “গত ২ ডিসেম্বর ঝাড়ু মিছিলটি হয়েছে এখানে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র কোন দোষ দেখি না। সভাপতি এন আলম বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য ওএমএসের লাইসেন্স দাবী করেছিল এবং বিগত দিনে ইউএনওকে দিয়েও অনেক ক্রাইম করিয়েছে। সভাপতি সাহেবের কথা না শুনাতে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। এন আলম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। বাবর ভাইয়ের রাজনীতিতে রয়েছে জনসমুদ্র ও ব্যপক জন সমর্থন। বাবর ভাইয়ের রাজনীতি নষ্ট ও প্রশাসনের কাছে বিএনপি’র ভাবমূর্তি দুর্বল এবং নিজের ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে জন্য এ কাজ করছে আলম চেয়ারম্যান। বিগত দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করতে চাইলে এই আলম সাহেব ওসি-এসপিদের দিয়ে হুমকি দিয়েছে এবং আমাকেসহ আমার সহযোদ্ধাদেরকে হয়রানি ও গ্রেফতার করিয়েছে। তিনি সাথে অতীতে এবং বর্তমানে আ.লীগের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে। সাবেক আ.লীগের সভাপতি কদ্দুছ সাহেব নিয়েও তার ব্যবসা-বাণিজ্য আছে।”মদনের কাইটাল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হাশেম বলেন, “গত ২ ডিসেম্বর ঝাড়ু মিছিলের বিষয়ে জানতে পেরেছি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আলম আগেরদিন রাতে এসিল্যান্ড অফিসে গিয়েছিলেন। ওএমএসের ছয়টি লাইসেন্সের মধ্যে আলম সাহেব দাবি করেছেন চারটি তাকে দিতে হবে। পরে নাকি ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বলেছে এগুলো লটারির মাধ্যমে দেওয়া হবে। আপনার যদি ভাগ্য ভাল হয় লটারিতে আপনি পাবেন। আপনাো সকলেই তো বিএনপি’র লোকজন। আপনাদের লোকজনই তো পাবে। আলম সাহেবের সবগুলোই প্রয়োজন।”
তিনি (হাশেম) আরও বলেন, “বিগত সময়ে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তা থেকে আমাদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন। এমনকি গত ১৮ জুলাই ও ৫ আগস্ট আগস্ট এসব আন্দোলন সংগ্রাম করতে নুর আলম রাজি হননি। আমরা ছাত্র-জনতা ও বিএনপি মিলে জেলার মধ্যে মদন থানায় আন্দোলন করে স্বাধীন করেছি। আলম সাহেব দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন এবং বিগত সরকারের আমলে স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের ভাই ও আত্মীয়-স্বজনকে আ.লীগের রাজনীতিতে সংযুক্ত করেছেন। অর্ধেক আগে থেকে আ.লীগের নিজেকে জড়িয়েছেন এবং ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন না হলে আলম সাহেবের বাকী অংশটুকু আ.লীগে ঢুকে যেতো বলে জানান তিনি।”মদন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও চানগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম তালুকদারের সাথে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “চাইবাম কি, আর দিবাম কি? ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ওএমএস শব্দটা আনার ও চাওয়ারই তো কোন সুযোগই দেন নাই। পৌরসভার ওএমএসের লাইসেন্স আগে ছিল তিনটি। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনে দেখলাম ছয়টি। এই আলোচনাটা শুরু করার আগেই ও সাবেক ইউএনও শাহআলমের নামটা আনার সাথেই তিনি (এসিল্যান্ড) রাগান্বিত হয়ে বলেন ‘হু ইজ শাহআলম’।”লটারি ছাড়া তিনটি ওএমএসের লাইসেন্স দাবীর বিষয়ে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি ( নুর আলম) বলেন, “তিনটা, ছয়টা আর বারোটাই নিয়ে কি আর কইবো। উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং মদন পৌর বিএনপি’র সভাপতি সেক্রেটারিসহ সাথে যারা ছিল তারা কেউ তো এ বিষয়ে আলোচনা এবং লটারি দিবে কি দিবে না বা কোনভাবে সিদ্ধান্ত দিবেন এনিয়ে কথা বলার সুযোগই পাইলম না।”
মদনের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রেজোয়ান ইফতেকার বলেন, “মদন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার গত ১ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে কিছু লোক নিয়ে আসেন। কিছু অনৈতিক দাবী আমার কাছে করেন। পৌরসভাতে ওএমএস কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ছয়জন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৬টি। আবেদন বেশি পড়ায় আমরা উন্মুক্ত লটারিতে নিয়োগ দিব জানিয়ে দেই। পরে আলম সাহেব তার পছন্দের তিনজনকে লটারি ছাড়াই ডিলার নিয়োগ দিতে বলেন।”এসিল্যান্ড আরও বলেন “আমি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার অনৈতিক দাবি পূরণ করি নাই। এজন্য তিনি ও তার সাথের লোকজন বিভিন্নভাবে অশ্রাব্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ এবং আ.লীগের দোসর, আওয়ামী পরিবারের সন্ত্বান, ফ্যাসিষ্টদের দোসর এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। ভদ্রভাবে তাদের চলে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে আরও অশ্রাব্য ভাষায় আমাকে গালিগালিজ করেন। তার অনৈতিক আবদার মেনে না নেওয়া মানুষদেরকে ভূলভাবে ক্ষেপিয়েছেন।