1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোনায় পানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করে প্রতিবন্ধী সুমন

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ বার পঠিত
 নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা গুমুরিয়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে সুমন মিয়া, জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। তার পিঠে খুঁজ থাকায় চলতে ফিরতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের ক্ষুধার যন্ত্রণা সামাল দিতে বাড়ি ছেড়ে বারহাট্টা বাজারে এসে মানুষের টুকিটাকি কাজ করে দেয়।তার বিনিময়ে যা পায় তা দিয়ে পেটের চাহিদা পূরণ  করে।
সারাদিন মানুষ তাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। কেউ আবার তাকে ব্যারিষ্টার সুমন নামেও ডাকে। নিজের পেট ও তার সংসারের ভরণপোষণের জন্য  ব্যারিষ্টারের  বিভিন্ন চা স্টলে পানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।দোকানদারদের এক বালতি পানি নিয়ে দিলে  ১০ টাকা দেয়। বিশুদ্ধ পানির হাউজ দূরে হওয়ায় প্রতিবার দুই বালতি করে পানি আনা-নেয়া করে। এভাবে প্রতিদিন যা পায় তা নিয়ে বাড়িতে যায়। এভাবেই চলছে ব্যরিষ্টার সুমনের কষ্টের জীবন। গত কয়েকদিন আগে সুমনের বৌ কে সুমনের শাশুড়ী বাড়িতে নেয়ার কথা বলে সিলেট নিয়ে গেছে। সেই থেকে সুমনের মন বিষন্নতায় ভরে গেছে।
প্রতিবন্ধী সুমনের বাবা হাসেন আলী বলেন,আমি আর আগের মতো পরিশ্রম করতে পারি না। বড় ছেলেটি ঢাকায় কাজ করে । তার সংসার আছে। এরপরও মাসের মাস আমাকে কিছু খরচাপাতি দেয়। আর আমার এই প্রতিবন্ধী  ছেলেটিকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তার চাহিদা এখন পূরণ করতে পারি না। বাজারে এসে এটা সেটা খেয়ে অভ্যাস হয়ে গেছে।এখন পানি টানাটানি করে নিজেও চলে বাড়িতেও শ’দেড়’শ টাকা নিয়ে এসে আমাকে দেয়।
তার একটি প্রতিবন্ধী কার্ডও আছে।  কিছুদিন আগে তাকে বিয়ে করিয়ে ছিলাম। মেয়েটা একটু সোজারাস্ত ছিল। মেয়ের মা বাড়িতে নেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে সিলেট নিয়ে গেছে। এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটা রাতে বাড়িতে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করে চিল্লাচিল্লি করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সুমন সারাদিন কাজ করে দুই তিন শত টাকা ইনকাম করতে পারে। তাকে কেউ ঠকায় না। তিন বছর আগে উপজেলার মুনসুরপুর গ্রামে সে বিয়ে করে। তখন থেকে সে আমোদ ফুর্তিতেই চলছিলো। শুনলাম তার বৌ চলে গেছে। তখন থেকে সুমনের মন খুব খারাপ থাকে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK