প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১১:১৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
নেত্রকোনায় নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সড়কে জলাবদ্ধতায় পথচারীদের ভোগান্তি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে পাকা সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে মোহনগঞ্জ পৌরবাসীর যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। ভোগান্তি দূরীকরণে এ সড়কের জলাবদ্ধতার দ্রুত সমাধানের দাবী জনান পৌরবাসী। জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরের প্রতিটি সড়কের একেই অবস্থা। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের সড়ক পথ দিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামসহ কয়েকটি আশপাশের গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
এ কারণে কয়েকটি হাওর অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌরশহরের প্রধান সড়ক গুলো ভয়াবহ হয়ে দাড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা আর খানাখন্দে সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। পানি বের হবার কোনো পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে পৌরশহরের প্রতিটি সড়কে। দিনের পর দিন পানি জমে থাকার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে ওই পথ গুলো দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মোহনগঞ্জ পৌরশহরের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিন বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করছে প্রতিটি সড়ক। সড়কের উপরে চাতালের উঠানে পানি জমে আছে। ড্রেন গুলো অকেজো হওয়ার মতো পানি বেড় হবার কোনো পথ নেই। এ অবস্থায় ভোগান্তি ও দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত ওই পানিবন্দি পথ দিয়ে যাতায়াত করছে শতশত পথচারী। জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত টেকসই ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন।
মোহনগঞ্জ পৌরশহরের পথচারী শফিউল আলম বলেন, দিনে দু’বার এই সড়ক গুলো দিয়ে চলাচল করতে হয়। জলাবদ্ধতার কারণে যাতায়াতে খুব অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে একজন চার্জার ভ্যানে যেতে ঝাঁকুনিতে পড়ে চালের দুটি বস্তা ফেটে পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। পানিতে রাস্তা ডুবে থাকায় সড়কে ছোট-বড় গর্ত বোঝা যায় না। এতে করে আমাদের বিপদের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানায় শফিউলসহ অন্যান্য পথচারীরা।
গোলাম মোস্তফা নামে এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য শুধু সড়ক নয় পৌরশহরের চাতালের উঠানেও পানি জমে থাকে। দুই মাস ধরে আমার চালের দোকান বন্ধ রয়েছে। রাস্তা গুলো না শুকানো পর্যন্ত ধান চালের আমদানি রফতানি করা যাচ্ছে না। পৌরশহরের ভাঙা রাস্তার জন্য লোকসান গুনতে হচ্ছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন হলে আমাদের সকলের সুবিধা হত। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।আরো জানা গেছে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহনগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায় ২০১৬ সালে। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মাহাবুবুন নবী বলেন, পৌরসভার ভিতরে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থাকে।
এতে জনসাধারণের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কের ধার দিয়ে যদি ড্রেন নির্মাণ করা যায় তাহলে পানি জমার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাহলে বর্ষার সময় জনসাধারণের ভোগান্তি হবে না বলে আশা করি।এব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক রেজওয়ানা কবির বলেন, পৌরসভার ভাঙা রাস্তা গুলোর জন্য আসলেই জনভোগান্তি হচ্ছে, কিন্তু এগুলো টেন্ডার হয়ে গেছে খুব দ্রুতই এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শরীফ। নির্বাহী সম্পাদক : তাসেরা তাজরীন। বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ আমান উল্যা।সম্পাদক ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: এমএস প্লাজা (৩য় তলা)২৭/সি/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
তুহিন
প্রেস ২১৯/২, ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল হতে মুদ্রিত। ফোন:
+৮৮-০২-৪১০৫২৪৯৪, মোবাইল: ০১৯৭১-৮৪২৩৬৫, ০১৭১১৮৪২৩৬৫, বার্তা: ০১৭৩১-৮৫৭১৮৬
,anantabanglanews24@gmail.com
Copyright © 2024 দৈনিক অনন্ত বাংলা. All rights reserved.