প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৪:৩৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
নেত্রকোনায় কংশ নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় মানুষের খেয়া নৌকাই একমাত্র ভরসা
ভারতের মেঘালয় কন্যা সোমেশ্বরী নদীবাংলা দেশের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুর উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রায় ২১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ঝারিয়া ঝাঞ্জাইলের কাছে বিশাল কংশ নদীতে মিলিত হয়েছে।কালের আবর্তে নদী ভরাট উঁচু পাড় গুলো ভেঙ্গে সমতল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় চাষীরা নদীর সমতল জায়গায় রবি শস্য ও চাষাবাদ করে যাচ্ছেন।কংশ নদীর দেউটুকুন খেয়াঘাটে ৪ উপজেলার মানুষের যাতাযেত করে থাকে। এই নদীর গুরুত্বপূর্ণ দেউডেকুন ফেরী ঘাটে শত বছরেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দূর্ভোগে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নেত্রকোনা সদর থেকে জামধলা বাজার ও রাজুর বাজার হয়ে দূর্গাপুর সদরে আসার জন্য বাইপাস এই রাস্তায় কংশ নদীর উপর দেউডেকুন ফেরী ঘাটে পারাপারে নৌকায় একমাত্র ভরসা।
ফেরী ঘাটের উপর পাড়ে দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে প্রায় ২০টি গ্রাম। নেত্রকোনা সদর থেকে দেউডেকুন ফেরী ঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও প্রায় শতবছর পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত এখানে সেতু নির্মাণের সরকারি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জেলা সদরে যাতায়াত করার জন্য ফেরিঘাটে এসে রোদ ও বৃষ্টি অপেক্ষা করে দূর্ভোগের শিকার হয়ে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটি নৌকা ফেরী ঘাটে ভিড়লে কে আগে যাবেন এই চিন্তা করে আরম্ভ হয় নৌকায় উঠার প্রতিযোগিতা। ফেরী ঘাটের উভয় পাশে মাঝিরা মাটি ফেলে অটোরিকশা,মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজি, চলাচলের দূর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করলেও বৃষ্টি হলে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। তারপরও ফেরী বাড়া জন প্রতি ১০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, সিএনজি ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এই ঘাটে যাত্রীরা মাঝিদের কাজ জিম্মি।
অনেক সময় যাত্রীরা কাদামাটিতে পিছলে হামাগুড়ি দিয়ে পরে যায়। এই দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা যাবে না, এই ঘাটে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। কৃষকদের শাকসবজি,মাছ ও অন্যান্য পণ্য পারাপারের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা গুনতে হয়।তা ছাড়া এই এলাকা থেকে জেলা শহরে মামলা,জমি সংক্রান্ত ও চিকিৎসার জন্য অতি অল্প সময়ে যাওয়ার জন্য এই বাইপাস সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। এব্যাপারে স্হানীয় আদিবাসী নেতা সাবেক পিটি আই সুপার ও আদিবাসী গবেষক মনিন্দ্র নাথ মারাক এই প্রতিনিধিকে বলেন, এই রাস্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।রোদ ও ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে চলাচল করতে হয়।দূর্ভোগের সীমা থাকে না। এদিকে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহান বলেছেন, সেতুটির সীমানা নির্ধারণের জটিলতার কারণে এমনটি হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শরীফ। নির্বাহী সম্পাদক : তাসেরা তাজরীন। বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ আমান উল্যা।সম্পাদক ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: এমএস প্লাজা (৩য় তলা)২৭/সি/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
তুহিন
প্রেস ২১৯/২, ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল হতে মুদ্রিত। ফোন:
+৮৮-০২-৪১০৫২৪৯৪, মোবাইল: ০১৯৭১-৮৪২৩৬৫, ০১৭১১৮৪২৩৬৫, বার্তা: ০১৭৩১-৮৫৭১৮৬
,anantabanglanews24@gmail.com
Copyright © 2024 দৈনিক অনন্ত বাংলা. All rights reserved.