1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোনায় কংশ নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় মানুষের খেয়া নৌকাই একমাত্র ভরসা

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত
ভারতের মেঘালয় কন্যা সোমেশ্বরী নদীবাংলা দেশের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুর উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রায় ২১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ঝারিয়া ঝাঞ্জাইলের কাছে বিশাল কংশ নদীতে মিলিত হয়েছে।কালের আবর্তে নদী ভরাট উঁচু পাড় গুলো ভেঙ্গে সমতল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় চাষীরা নদীর সমতল জায়গায় রবি শস্য ও চাষাবাদ করে যাচ্ছেন।কংশ নদীর দেউটুকুন খেয়াঘাটে ৪ উপজেলার মানুষের যাতাযেত করে থাকে। এই নদীর গুরুত্বপূর্ণ দেউডেকুন ফেরী ঘাটে শত বছরেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দূর্ভোগে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নেত্রকোনা সদর থেকে জামধলা বাজার ও রাজুর বাজার হয়ে দূর্গাপুর সদরে আসার জন্য বাইপাস এই রাস্তায় কংশ নদীর উপর দেউডেকুন ফেরী ঘাটে পারাপারে নৌকায় একমাত্র ভরসা।
ফেরী ঘাটের উপর পাড়ে দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে প্রায় ২০টি গ্রাম। নেত্রকোনা সদর থেকে দেউডেকুন ফেরী ঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও প্রায় শতবছর পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত এখানে সেতু নির্মাণের সরকারি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জেলা সদরে যাতায়াত করার জন্য ফেরিঘাটে এসে রোদ ও বৃষ্টি অপেক্ষা করে দূর্ভোগের শিকার হয়ে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটি নৌকা ফেরী ঘাটে ভিড়লে কে আগে যাবেন এই চিন্তা করে আরম্ভ হয় নৌকায় উঠার প্রতিযোগিতা। ফেরী ঘাটের উভয় পাশে মাঝিরা মাটি ফেলে অটোরিকশা,মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজি, চলাচলের দূর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করলেও বৃষ্টি হলে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। তারপরও ফেরী বাড়া জন প্রতি ১০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, সিএনজি ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এই ঘাটে যাত্রীরা মাঝিদের কাজ জিম্মি।
অনেক সময় যাত্রীরা কাদামাটিতে পিছলে হামাগুড়ি দিয়ে পরে যায়। এই দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা যাবে না, এই ঘাটে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। কৃষকদের শাকসবজি,মাছ ও অন্যান্য পণ্য পারাপারের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা গুনতে হয়।তা ছাড়া এই এলাকা থেকে জেলা শহরে মামলা,জমি সংক্রান্ত ও চিকিৎসার জন্য অতি অল্প সময়ে যাওয়ার জন্য এই বাইপাস সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। এব্যাপারে স্হানীয় আদিবাসী নেতা সাবেক পিটি আই সুপার ও আদিবাসী গবেষক মনিন্দ্র নাথ মারাক এই প্রতিনিধিকে বলেন, এই রাস্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।রোদ ও ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে চলাচল করতে হয়।দূর্ভোগের সীমা থাকে না। এদিকে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহান বলেছেন, সেতুটির সীমানা নির্ধারণের জটিলতার কারণে এমনটি হচ্ছে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK