1. admin@anantabangla.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোনায় আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক কৃষাণি 

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার পঠিত
নেত্রকোনায় আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণিরা। ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে দাম থাকায় খুশি তারা। এদিকে, ধান কাটা শেষে আবারও জমি প্রস্তুত করে সেখানে আলু ও সরিষা চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেক কৃষক। ইতোমধ্যে অনেকেই আলু ও সরিষা চাষের জন্য জমিতে গোবর সার প্রয়োগ করতেও শুরু করেছেন। নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদিত ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫২২ মেট্রিক টন চাল বাজারে বিক্রি হয় ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকায়।
নেত্রকোনায় বেশ কয়েকটি উপজেলার আমন ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে রাখা সোনালি রঙের ধান। ধান কেটে আঁটি বেঁধে সপ্তাহখানেক খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষক। দূর থেকে দেখলে যে কারোরই মনে হবে মাঠে যেন সোনা ছড়িয়ে রয়েছে। পরে কৃষক ধানের সঙ্গে খড় শুকিয়ে তা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ থেকে ধান তোলার সঙ্গে আলু ও সরিষা চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে গোবর সার। চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত ছিল। ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে কৃষকের ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলে লাভের মুখ আরও দেখবেন বলছেন আমন চাষিরা। নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘এবার আমি ৮ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বর্ষার পানির উপর নির্ভর করে আমন ধান চাষ করা হয়। আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যন্ত পাইছি। আল্লাহ দিলে ফলন ভালো হয়েছে।
আশুজিয়া গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, এক বিঘা জমি চাষ করেই আমার সংসার চলে। ছেলে-মেয়ে নেই, দুই জনের সংসার। আমার জমিতে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে। সামান্য জমি আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে চাষাবাদের কাজ করি। ধান কাটছি, এখন সরিষা চাষ করবো। আশা করি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাবো। ধান কাটা শ্রমিকরা জানান, ধান কাটার সময় এবার বর্ষা নেই ফলে মাঠেও কোনো পানি নেই। আমাদের ধান কাটতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা ৮ জন এক সঙ্গে ধান কাটছি। ধান কাটা-মাড়াইতে বিঘাপ্রতি ৪০০০ থেকে ৪৫০০ হাজার টাকা নিচ্ছি। দিনে দেড় থেকে দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি। নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। নেত্রকোণায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় আমনের। জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সোনালী ফসল ভালো ভাবেই ঘরে তুলতে পারবে। কৃষকদের আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের পথে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK