1. admin@anantabangla.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন
অনন্ত বাংলা শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; মেজর (অব.) হাফিজ  ঝিনাইগাতীতে ট্রলি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ১ আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলের সাথে ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ নেত্রকোনায় ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর হাতে আটক নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধের এখনো কমিটিই হয়নি, কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের  ধুনট প্রেসক্লাবের ২ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে  হুইল চেয়ার প্রদান  লালমোহনে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা

নেত্রকোনায় অপূর্ব মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ও সুবাসিত সৌন্দর্যের ফুল মধুমাধবী 

সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯ বার পঠিত
মধুমাধবী ফুলের কথা প্রথম শুনেছি নিসর্গী ও বিজ্ঞানলেখক অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার কাছে। তিনি নিজস্ব ভঙ্গিতে ফুলটির বর্ণনা দিতেন। দেখতে কেমন, কী রং, কেমন গন্ধ ইত্যাদি। শৈশবে দেখা এই ফুল পরে আর কখনোই দেখেননি তিনি। এ নিয়ে তাঁর বেশ আক্ষেপ ছিল। তাঁর ধারণা ছিল, এই গাছ আমাদের প্রাকৃতিক আবাস থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পর নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্তে বনে গাছটি খুঁজে পান নেত্রকোনা সরকারি কলেজের বোটানি বিভাগের এক অধ্যাপক। তিনি বন থেকে চারা সংগ্রহ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করেন। সেই গাছ গুলোতে এখন নিয়মিত ফুল ফুটছে। তাই নেত্রকোনার একটি সড়কে গিয়েই সরেজমিনে গাছটি দেখার সুযোগ হলো।
মধুমাধবী (Stixis suaveolens) ফুলের রং যেমন মনোমুগ্ধকর তেমনি তার সুবাস। এই রঙে আছে আভিজাত্য আর সুবাসে আছে মাদকতা। ফুল ফুটলে সুবাস অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে। গাছটি মেঘালয়ে মধুমালতী নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে সাধারণত মধুমঞ্জরি বা রেঙ্গুন ক্রিপারকেই এ নামে ডাকা হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে এই গাছ মধুমালা নামেও পরিচিত। এটি কাষ্ঠল লতার গাছ। আবার কখনো কখনো গুল্মজাতীয় ঝোপালো উদ্ভিদের মতো দেখা যায়। শাখা–প্রশাখা ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত। পাতা ১০ থেকে ৩০ সেমি লম্বা, উপবৃত্তাকার, দীর্ঘায়ত, পুরু, চকচকে, ওপরের অংশ গাঢ় সবুজ এবং নিচের অংশ ফ্যাকাশে সবুজ। পুষ্পবিন্যাস শীর্ষীয়, ১৫ থেকে ৩০ সেমি লম্বা, মখমলের মতো, মঞ্জরিপত্র রৈখিক, ২ থেকে ৪ মিমি লম্বা, ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত। ফুলের রং ফ্যাকাশে হলুদ বা সবুজাভ হলুদ, সুগন্ধি, আড়াআড়ি ১২ থেকে ১৮ মিমি লম্বা। পুষ্পাধার আড়াআড়ি আড়াই মিমি। বৃত্যাংশ ৫ থেকে ৬০ মিমি দীর্ঘ, পুরু, ধূসর সবুজ ও রোমশ। পুংকেশর ৩৮টি থেকে অসংখ্য, পুংদণ্ড ৫ থেকে ৬ মিমি লম্বা, রোমশবিহীন ও পরাগধানী কমলা হলুদ। গর্ভাশয় রোমশবিহীন, উপবৃত্তাকার ও কমলা বাদামি রঙের। ফুলের পর আসে ফল। এই ফল চীন ও পূর্ব ভারতে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বীজ ডিম্বাকার, রসালো অংশ হলুদ, সুগন্ধি ও মিষ্টি। ফুলের মৌসুম বসন্তকাল।
আরো জানা গেছে, এই মধুমাধবী নেত্রকোনা ছাড়াও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। ভারতের মেঘালয় ,সিকিম, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে মিশ্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় বনে সুগন্ধি এই ফুল পাওয়া যায়। এ ছাড়া নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনেও সহজলভ্য। গুল্ম শ্রেণির জঙ্গল ও বাঁশের অরণ্য গাছটির প্রিয় আবাস। পরিবেশবিদরা মনে করছেন এই বীজ থেকে সহজেই চারা হয়। আমাদের পার্ক ও উদ্যানগুলোতে এই গাছ রোপণ করা প্রয়োজন। তাতে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি প্রজাতি সংরক্ষণও হবে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত ©২০২৪ দৈনিক অনন্ত বাংলা
Theme Customized BY SHAKIL IT PARK