শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপি ফাতেমা রাণীর র্তীথ উৎসব। ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে সমাপনী মহা খ্রীষ্টযাগের (মূলপ্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ র্তীথ উৎসব। ‘প্রার্থনায় প্রেরণায় ফাতেমা রানী মা মারিয়া’, ‘যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে থাকে’—এই মূল সুরে তীর্থ উৎসবে যোগ দেন প্রায় ৩০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক খ্রীষ্টভক্ত। এখানের মূল আকর্ষন আলোর শোভাযাত্রার মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে গারো পাহাড়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্টান ধর্মপল্লীতে পূণর্মিলন, পাপ স্বীকার এবং বিকেলে পবিত্র খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরে রাতে আলোক শোভাযাত্রা, আরাধনা, ব্যক্তিগত প্রার্থনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরন আজ সকালে জীবন্ত কুশের পথ ও মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্যদিয়ে শেষ হয় দুই দিনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্রীষ্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোম জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহন করেন। এসময় প্রায় ৩ কিলোমিটার পাহাড়ী ক্রুশের পথ অতিক্রম শেষে মা-মারিয়ার প্রতিকৃতির সামনে সমবেত হয়ে ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে অকৃপন সাহায্য এবং নিজেদের মনের বাসনা পূরণ, ভাল ফলাফল ও লেখাপড়া সহজ করতে প্রার্থনা করেন ক্যাথলিক ভক্তরা।