রাজশাহীর নাটোরে নিজামুদ্দিনের মজলুম তাবলীগের সাথীদের উপর নৃশংস ভাবে জোবায়ের পন্থীদের হামলার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে । এই হামলায় প্রায় ১০০ জন সাথী আহত ও ১জন সাথী আশঙ্কা জনক অবস্থায় ICU তে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তাবলীগের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে নাটোরেও দুই ভাগে বিভক্ত হয় তাবলীগ জামাত। তৎকালীন সময়ে থাকা সরকারের এমপি দু পক্ষকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেন। তারই সিদ্ধান্ত মতে মুলধারা নিজামউদ্দিনের তাবলীগ জামাত তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদে ও জুবায়েরপন্থিদের শহরের আলাইপুর মারকাজ মসজিদে তাবলীগের কাজ করে আসছেন।
তবে তাবলীগের সাথীদের অভিযোগ, তাবলীগের নাটোর জেলা ইজতেমা যেন না করতে পারেন সেজন্য নাটোর জেলা মারকাজ থেকে তাবলীগ ওয়ালাদের বের করে দিয়ে ৫ই আগস্ট দখলে নেন জোবায়ের পন্থীরা। ২৪ শে অক্টোবর যখন তাবলীগ ওয়ালারা নাটোর জেলা ইজতেমা করার জন্য প্রস্তুতি নেন তখন আবারো জোবায়ের পন্থী স্থানীয় রাজনৈতিক দল বিএনপিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয়, এতে বিএনপির সহযোগিতায় নিজামউদ্দিন তবলীগওয়ালাদের উপর নৃশংস ভাবে হামলা চালানো হয়। তাবলীগের প্রায় ১০০+ সাথীরা গুরুতর আহত হয়ে নাটোরে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং অনেকের আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য ভর্তি করানো হয়।
নাটোর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন জানান, দ্বন্দ্ব নিরসন করতে আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। সে পর্যন্ত মসজিদ এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে থাকবে।