দীর্ঘ ২৪ বছরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে (১৭ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারহাট্টা উপজেলা শহরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় দীর্ঘ ২৪ বছরের প্রেসক্লাবের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস আহমাদ বাবুল। সভায় ক্লাবের আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন,সদস্যদের মাসিক চাঁদা নিধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সব সদস্যকে নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। এসময় জানা যায়, বিগত ১৯৮৬ সালে বারহাট্টা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর দীর্ঘ সময় প্রেসক্লাবের নিজস্ব দপ্তর স্থাপন সম্ভব হয় নাই।ফলে এক পর্যায়ে নিজেদের মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা ও মতবিনিময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে করে সকল সদস্যদের মাঝে হতাশার দানা বাঁধে। তখন অনেক সদস্যের অবস্থা হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও নানান কারণে সফল হওয়া সম্ভব হয় নাই।
আরো জানা যায়, প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে নতুন করে প্রেসক্লাবে আরো ১৬ জন সদস্য যুক্ত করা হয়েছে।এর আগেও(১২ অক্টোবর ২০১৯ সালে ) আরো ৬ জন সংবাদকর্মী প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু নানান কারণে সদস্য ( মেম্বারশীপ) দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর (২৫ জানুয়ারি ২০২০) সালে পূণরায় নির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বান করা হয় কিন্তু সেদিনও ফোরাম সঙ্কটের কারণে সফলতা আসেনি। পরবর্তিতে আবার প্রেসক্লাবের সভাপতির সম্মতিক্রমে (৯ নভেম্বর ২০২৪) সালে নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতির সম্মতিতে ঐ সভায় সফলতা আসে। এসময় প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য শিক্ষক সুমল কুমার রায়, শিক্ষক মনসুর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা তাহেরুল ইসলাম, প্রভাষক খালেদ সাইফুল্লাহ, জনপ্রতিনিধি গণেশ কিশোর দাশ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক মাসুদুর রহমানের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় আরো জানা যায়, এতো দিন আশা দূরাশার মধ্যে দিয়ে অনেক সময় পাড় হয়ে গেলেও বর্তমানে প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন এখন দৃশ্যমান হয়েছে। প্রেসক্লাবের বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন না হলেও নিজস্ব ভবনে এখন সদস্যরা বসতে পারে। আরো জানা গেছে, প্রেসক্লাবে বর্তমানে সামান্য কিছু আসবাবপত্র রয়েছে।যা প্রেসক্লাবের তুলনায় অনেক কম। তবে একথা বলা যায় যে বর্তমানে প্রেসক্লাব তার স্থবিরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। সদস্যদের আনাগোনায় প্রেসক্লাব ভবন এখন সদা জাগ্রত ও মুখরিত। এসময় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমাদ বাবুল বলেন, প্রেসক্লাবের নিয়মের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও উন্নয়নে আমি সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফল হয়েছি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমার সকল সফলতা আপনাদের, ব্যর্থতার দায় আমার। প্রেসক্লাবের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমার অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে।সকল ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নতুন কমিটি হবে প্রেসক্লাবের কাজ শুরু হবে নতুন উদ্যমে। অদূর ভবিষ্যতে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রেসক্লাব দেখবো এই প্রত্যাশা ও সকলের দোয়া কামনা করছি আমি।
পরে প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আনিসুল আলম তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমাদ বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিজভী,এম মুখলেছুর রহমান, কামাল হোসাইন,কবি এনামুল হক পলাশ,হায়দার আলী ভূঁইয়া, মোখলেছুর রহমান হীরা, ফারুক আহমেদ, রুকুনুজ্জামান খান, সোহেল খান দূর্জয়,ওমর ফারুক, লতিফুর রহমান খান,আফজাল হোসেন, মামুন কৌশিক,রিপন গুন সহ অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।