সচেতন ছাত্রসমাজের উদ্দ্যোগে আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় গাজীপুর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন পালন করছেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। আগামী ২০ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি ও মাওলানা সাদকে আসার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এতে জানানো হয়, আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাই-২৪ বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করছি যে, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের ভেতরে একটা সুস্পষ্ট বিভেদ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
তাবলিগের জুবায়ের গ্রুপ প্রতিবছর তাদের সর্বোচ্চ মুরব্বিদের নিয়ে জোড় ও ইজতেমা করার সুযোগ পাচ্ছে। এই বছরও তারা টঙ্গীর ময়দানে তাদের সব মুরুব্বিকে (ভারত ও পাকিস্তান) নিয়ে পাঁচ দিনের জোড় করেছে। ন্যায্যতা ও ইনসাফের দাবি অনুসারে মাওলানা সাদ গ্রুপকেও তাদের সর্বোচ্চ মুরব্বিকে বাংলাদেশে এনে ২০-২৪ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জোড় করার সার্বিক দাবি জানাচ্ছি। ন্যায্যতা ও ইনসাফ হিসেবে এই ব্যাপারটি নিয়ে আর কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ দেখতে চাই না।
এ সময় তারা জানান, সচেতন ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা বৈষম্য দূরীকরণ, দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে উপরোল্লিখিত দাবি মেনে নেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর তারিখে সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।