নোয়াখালী-(চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সাবেক সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিমের সাবেক পিএস পরিচয়দানকারী শাহজাহান সাজুর নির্দেশে তার ছেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা গ্রামের বাদশা মিয়া পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী নুরুল ইসলামের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং বৃদ্ধাসহ তিন নারীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম বাদি হয়ে চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একই বাড়ির নুরুল ইসলামের মেয়েকে পাত্রপক্ষের লোকজন দেখতে আসলে শাহজাহান সাজু তাদের নিকট মেয়ে সম্পর্কে নানাহ খারাপ মন্তব্য করেন। এর আগেও বহুবার খারাপ মন্তব্য করায় মেয়ের বিয়ে ভেংগে যায়। খারাপ মন্তব্য করা প্রসঙ্গে শাহজাহান সাজুকে জিজ্ঞেস করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার ছেলে হাসান ও মল্লিকা দিঘিরপাড় ফাযিল মাদ্রাসার পিয়ন আব্দুল লতিফ ওরফে মায়ার বাপের নেতৃত্বে এই হামলা চালায়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা নুরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম (৫৫) তার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৮০) এবং তার মেয়ে শ্যামলী আক্তার (১৯) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছালেহা বেগম জানায়, তার বোনের মেয়ের বাড়িতে বিদ্যুৎ খুটি বসানো বাবদ ৬ বছর আগে শাহজাহান সাজুকে ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছরেও বিদ্যুৎতের খুটি না দেয়ায় শাহজাহান এর নিকট থেকে হরহরিয়া গাছের নামক স্থানে টাকা ফেরত চাইলে সে না দেয়ায় তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সে এটাকে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে চাদার দাবিতে অপহরণ করেছে বলে অপপ্রচার করে এবং চাটখিল থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে । যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাই তারা শাহজাহানের বিচার দাবি করে।
এলাকাবাসী জানায়, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে শাহজাহান সাজু ও আবদুল লতিফ ওরফে মায়ার বাপ এবং মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক স্থানীয় এমপির নাম বিক্রি করে এলাকার বিভিন্ন লোকজন থেকে বিভিন্ন কাজের কথা বহু টাকা হাতিয়ে নেয়। কাজ না করায় টাকা ফেরত চাইলে নানা অত্যাচার চলতো। তারা ছিল এলাকার মূর্তিমান আতংক। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। তারা যাই বলতো তাই আইন। এলাকার মানুষকে জিন্মি করে রাখতো।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফিরোজ উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তাদের বসতে বলা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শরীফ। নির্বাহী সম্পাদক : তাসেরা তাজরীন। বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ আমান উল্যা।সম্পাদক ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: এমএস প্লাজা (৩য় তলা)২৭/সি/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
তুহিন প্রেস ২১৯/২, ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল হতে মুদ্রিত। ফোন: +৮৮-০২-৪১০৫২৪৯৪, মোবাইল: ০১৯৭১-৮৪২৩৬৫, ০১৭১১৮৪২৩৬৫, বার্তা: ০১৭৩১-৮৫৭১৮৬ ,anantabanglanews24@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক অনন্ত বাংলা. All rights reserved.