দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে চট্টগ্রামের এক উদ্যোক্তার ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নজর কেড়েছে সবার। সীমিত আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে মাত্র ৯৯ টাকায় ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি করছেন। আরেক প্যাকেজে পাওয়া যাচ্ছে ৬৪০ টাকায় এক কেজি মাংস। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে সাড়াও মিলছে বেশ। স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। অন্যান্য উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান ভোক্তাদের।
চট্টগ্রামে প্রায় সকল ধরণের নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। মাংসের দামও আকাশচুম্বী। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর মাংস। মাংসের চড়া দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে গোখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাত ব্যবসায়ীদের। একজন ক্রেতা বলেন, গরুর দাম এখন বেশি না। কিন্তু বাজারে মাংসের দাম বেশি। সেক্ষেত্রে গরুর মাংসের দাম ৫০০-৬০০ হওয়া উচিত। আর একজন নারী ক্রেতা বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম যদি শিথীল হয় তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের জন্য ভালো হয়। এতে আমরা মাংস কিনতে পারবো।
তবে একজন মাংস বিক্রেতা শোনালেন ভিন্ন কথা। বলেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেশি। এতে মাংসের ও দাম বেশি পড়ে যায়। চাইলেও কম দামে মাংস বিক্রি করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র ৯৯ টাকায় ২৫০ গ্রাম এবং ৬৪০ টাকায় ১ কেজির মাংস গরুর মাংস মিলছে চট্টগ্রামের হালিশহরের একটি দোকানে। সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। বাজারে গরুর মাংস কিনতে এসে এক ক্রেতা বলেন, মাত্র ৯৯ টাকায় মাংস কিনতে পেরে খুশি। এত স্বল্প দামে মাংস কিনতে পারবো কখনো ভাবিনি। অন্য আর একজন ক্রেতা বলেন, ১ কেজি গরুর মাংস কেনার অনেকের সামর্থ্য নেই। কিন্তু এই দোকানে যে ৯৯ টাকাের প্যাকেজ দিচ্ছে এটা একটা অসাধারণ উদ্যোগ এবং এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
মাংস নিয়ে নৈরাজ্য ও সিণ্ডিকেট ভাঙ্গা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহজলভ্য করতেই ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন এই যুবক। উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, সাধারণ ক্রেতাদের পাশে দাড়ানোর জন্য এই উদ্দ্যোগ নিয়েছি। বাজারে যে মাংসের বড় সিন্ডিকেট আছে, তারা যেন এই সিন্ডিকেটগুলো ভেঙে দেয়। মূলত সিন্ডিকেট ভাঙতেই উদ্যোগ গ্রহণ করছি।