নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের হত্যার চেষ্টা ও ককটেল ফাটিয়ে প্রাণহানীর প্রচেষ্টা।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সোমবার সকালে ও আগেরদিন রাতে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানা-পুলিশ। জানা যায়, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে এজাহারনামীয় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কলমাকান্দা উপজেলা মোড়ের মৃত অরুন সরকারের ছেলে অঞ্জন সরকার বাবন (৪৮), মনতলা গ্রামের মৃত মাঈন উদ্দিন বাচ্চুর ছেলে মো. শরীফ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে এরশাদ মিয়া (৩৫) ও শৌলজান গ্রামের লিটন মিয়া (৪৫)। এর আগেরদিন রাতে আটককৃতরা হলেন- কলমাকান্দা বাজারের মো. ফোরকান মিয়ার ছেলে মো. নাজির হোসেন ওরফে বাচ্চু মিয়া (৪০) ও কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩২)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে কলমাকান্দার উব্দাখালী ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে রাস্তায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম ও বিস্ফোরক দ্রব্য ককটেল ফাটিয়ে প্রাণহানীর চেষ্টার মাধ্যমে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে অন্তত ১৬ জন নেতাকর্মী জখমপ্রাপ্ত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে বাদী আকাশ মিয়াসহ মো. উজ্জাল মিয়া, নুর আলম, মো. জলিল মিয়া, মাসুদ মিয়া ও মো. খোকনের অবস্থা গুরুতর থাকায় বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে কলমাকান্দার চত্রংপুর গ্রামের মো. মারফত আলীর ছেলে আকাশ মিয়া বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কলমাকান্দা উপজেলার শাখার যুগ্ম আহবায়ক মো. আ. আউয়াল (৩০), গ্রেফতারকৃত ছয়জনসহ আ.লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৩৫ জন নেতাকর্মী-সমর্থকদের নাম উল্লেখ এবং এতে আরো ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে ও আগেরদিন রাতে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে গ্রেফতার সক্ষম হয় পুলিশ। তাদেরকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।