বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে হেফাজতপন্থীরা। হেফাজতে ইসলাম শুরুতে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও সময়ে সাথে সাথে নিজেদের রাজনৈতিক মোড়কে ঘুরিয়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে সংগঠনটির আমির আল্লামা শফী ও জুনায়েদ বাবানুগরীর মৃত্যুর পর নতুন নেতৃত্বের মধ্যে অর্থ ও রাষ্ট্রক্ষমতার লোভ চরমভাবে পেয়ে বসেছে।
তাবলীগ জামাতের দ্বন্দ্বের নাটের গুরু ঢাকা মহানগরীর হেফাজতের নেতা জুনায়েদ আল হাবীব মিরপুরে অনুষ্ঠিত দলের খাস কমিটির এক জরুরী সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে ৩১ অক্টোবর তার বক্তব্যে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য ওলামাদের উস্কিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সকল মাহফিলে মাওলানা সাদ কান্দালভীর বিরুদ্ধে বলতে এবং ৫ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকতে আহবান করার জন্য বলেন।
অথচ গত ২০১৮ সালের টঙ্গী ময়দানেও সাধারণ মুসল্লিদেরকে উস্কি দিয়ে নিজে লন্ডনে গিয়ে পালিয়েছিলেন জুনায়েদ আল হাবীব। এখন আবার পুনরায় ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাধারণ মাদ্রাসা ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ব্যবহার করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের উস্কানি দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
হেফাজতের একটি সূত্র বলছে, হেফাজতের একটি অংশ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে এবং ধর্মভিত্তিক একমাত্র শক্তি হতে অন্য ইসলামীক সংগঠনগুলোকেও টার্গেট বানিয়েছে। বিশেষ করে তবলীগ জামাত বাংলাদেশের একটি বড় অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। এজন্য প্রথমেই চোখ পড়েছে তাদের উপর। যে সমস্যার কারণে তাবলীগ জামাত ২ ভাগে বিভক্ত হয়েছে তার পেছনে হেফাজতের ইন্ধন একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। আর এসব বিষয়গুলো এখন হেফাজতের অনেক নেতাই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসে মুখ খুলছেন যা নিয়ে খোদ হেফাজতের মধ্যেই এখন টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাবলীগ জামাতকে পরিকল্পিতভাবে ভাঙতে হেফাজতের কোনো কোনো নেতা দীর্ঘদিন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে, যাতে অরাজনৈতিক এই সংগঠন তাদের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়। এটা ছিল তাবলীগ জামাত ভাঙার অন্যতম উদ্দেশ্য।
বিশ্লেষকরা বলেন, হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাস এবং রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে আকাঙ্খা পেয়ে বসেছিলো তাই তারা নিজদের অবস্থান শক্ত করার জন্য অনেক কিছুই করছে।